বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ডের জার্নিতে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে প্রায় ৭২ ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছিলো। আমরা ও বাচ্চারা এই কয়েকদিন প্রায় না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। তাই, এই এয়ারপোর্টে নেমে সবার আগে ইমিগ্রেশন এর কাজটা শেষ করে ফেলতে হবে, যেন তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যেতে পারি।
ইমিগ্রেশনের লাইনে আমরা সহ মোট তিন জন। খুব বেশি সময় লাগলো না আমার সিরিয়াল আসতে। ফিনিশ ইমিগ্রেশন পুলিশকে যা যা দেখালাম তা হলোঃ
১। আমাদের চারজনের পাসপোর্ট এবং রেসিডেন্স পার্মিট কার্ড।
২। আমার ইউনিভার্সিটির এডমিশন লেটার ও স্কলারশিপ পেপার।
৩। ফিনল্যান্ডে TOAS থেকে যে বাসা পেয়েছি তার কন্ট্রাক্ট পেপার।
এই ডকুমেন্টসগুলো দেখার পরে ভিসা অফিসার জানতে চাইলো আমরা ফিনল্যান্ডে কিভাবে ইউরো খরচ করবো, আমাদের সাথে কত ক্যাশ আছে এবং সেই ক্যাশের কোন ডকুমেন্টস আছে কিনা। আমি বাংলাদেশ থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এনেছিলাম এবং সাথে করে খুব অল্প ক্যাশ টাকা এনেছিলাম। এই ক্যাশ টাকার ডকুমেন্টস হিসাবে পাসপোর্টের পেছনের পাতায় এন্ডোর্সমেন্ট এর সিল ও যেখান থেকে ইউরো এক্সচেঞ্জ করেছিলাম তাদের কাছ থেকে একটা রিসিট এনেছিলাম। এগুলো ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে দেখানোর পরে তিনি বললেন “এভ্রি থিঙ্ক ইজ ওকে”।
এবার প্রশ্ন শুরু হলো, কোন সাব্জেক্টে পড়তে এসেছি, কেন ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটতে পড়তে চাই, পড়া শেষ করে কি করবো। এই সব প্রশ্নের উত্তর আগের থেকে চিন্তা করে রেখেছিলাম। তাই উত্তর দিতে কোন সমস্যা হলো না।
এর পরে আমাদের প্লেনের টিকেটে সিল দিয়ে বললো, “ইউ মে গো নাও”। আমরাও থ্যাঙ্ক ইউ বলে সোজা চলে গেলাম লাগেজ কালেক্ট করতে।
টিপসঃ
১। আগের থেকেই সব ডকুমেন্টস সিরিয়াল করে রাখবেন। যাতে ইমিগ্রেশন অফিসার চাওয়ার সাথে সাথে দেখাতে পারন।
২। প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিবেন। না বুঝলে আবার জিজ্ঞাসা করবেন। আন্দাজে উত্তর দেয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৩। আপনার সাথে কত টাকা আছে, কোন সাব্জেক্টে পড়তে এসেছেন এবং কোথায় থাকবেন, এই বিষয়গুলোতে খুব ভালো ধারনা রাখবেন।
৪। অপ্রয়োজনীয় কোন কথা বলবেন না। যেটা জিজ্ঞাসা করবে সেটার উত্তর দিবেন।