আমার বাচ্চার আগের MRP পাসপোর্ট ছিলো এবং সেটার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে চলে আসছিলো। তাই ভাবলাম যে, পাসপোর্ট রিনিউ করে নেই। এই ব্লগে কিভাবেপাসপোর্ট রিনিউ করলাম তার সম্পুর্ন প্রসেসটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রথমেই অনলাইনে e-passport এর ফর্ম পুরন করে নিয়েছি। এর পরে ট্রাস্ট ব্যাংকে গিয়ে রেগুলার পাসপোর্ট রিনিউ এর জন্য ৪০২৫ টাকা জমা দিয়েছি। ব্যাংক থেকে একটা স্প্লিপ দিয়েছে সেটাকে আঠা দিয়ে মুল ফর্মের ডান দিকে লাগাতে হবে। এরপরে মুল ফর্মে সাথে পাসপোর্ট রিনিউ এর জন্য দরকারি সব ডকুমেন্টস স্ট্যাপ্লার করে দিয়েছি।
সিলেট আরপিওতে পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম জমা দেয়ার জন্য কোন ধরনের এপোয়েন্টমেন্ট দরকার হয় না। তাই ফাইল রেডি করে আমার সুবিধামত দিনে পাসপোর্ট অফিসে চলে গেলাম। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চার মাকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হয়, কারন মহিলাদের লাইন খুবই ছোট থাকে। অল্প সময়েই ফর্ম জমা দিয়ে দেয়া যায়।
পাসপোর্ট রিনিও এর জন্য রোহিংগা টেস্টের দরকার পরে না। তাই সরাসরি চলে গেলাম ১০৮ নং রুমে। পাসপোর্টের আবেদন ফর্ম জমা নিয়ে উনারা সবকিছু চেক করে দেখে বললেন যে ১০২ নং রুমে যেতে। প্রায় ৩০মিনিট অপেক্ষা করার পরে বাচ্চার আবেদন ফর্ম হাতে পেলাম এবং সেটা নিয়ে ২০১ নং রুমে যেতে বললেন বায়োমেট্রিক এর জন্য।
আমি ভুলে বাচ্চার আগের MRP পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে যাই নি। খুবভালো করে মনে রাখবেন, পাসপোর্ট রিনিও এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আগের পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে যেতে হবে। কোন প্রকার ফটোকপি তারা গ্রহন করে না। উনারা আমাকে বলে দিলেন যে, আগের পাসপোর্ট ছাড়া কোনভাবেই বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট করা যাবে না। কি আর করা, আবার বাসায় এসে বাচ্চার পুরাতন পাসপোর্ট নিয়ে উনাদেরকে দিলাম। মাত্র ৫ মিনিট এর মধ্যে সব কাজ শেষ করে ডেলিভারী স্প্লিপ নিয়ে আসলাম। আমার বাচ্চার বয়স ৭, তাই উনারা ছবি তুললেন। কিন্তু কোন ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ স্ক্যান এবং সিগ্নেচার নিলেন না।
যেহেতু পাসপোর্ট রিনিও এর জন্য দিয়েছি তাই কোন রকম পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। আশা করছি, ইনশাল্লাহ দুই সপ্তাহের মধ্যেই e-passport হাতে পেয়ে যাবো।