প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো ফিনল্যান্ডে এসেছি।আবহাওয়া থেকে শুরু করে আশেপাশের সবকিছুই বাংলাদেশ থেকে একেবারেই ভিন্ন। ফিনল্যান্ডে আসার পরে বেশ কয়েকটা ব্যাপার আমার নিজের কাছে অদ্ভুদ লেগেছে। আমরা যারা এশিয়া থেকে ফিনল্যান্ডে এসেছি তাদের জন্য ব্যাপারগুলো আসলেই একটু অন্যরকম।
লাইটের সুইচ উল্টা দিকে
বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিক সুইচের অন/অফ বাটন যেভাবে কাজ করে, ফিনল্যান্ডে ঠিক তার উলটা দিকে কাজ করে। প্রথমদিকে খুব সমস্যা হলেও এখন বছরখানেক থাকার পরে সব একেবারেই নরমাল হয়ে গিয়েছে।
কোন ত্রিপিন এর পোর্ট নাই
এখানে সব ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কানেশন টু-পিন এর। তাই বাংলাদেশ থেকে আনা ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, যেগুলোতে ত্রিপিনের কানেশন সেগুলোকে চালানোর জন্য কনভার্টার লাগবে।ফিনল্যান্ডেও ইলেকট্রিক শপ এবং আইকিয়াতে কনভার্টার পাওয়া যায় তবে সেগুলোর দাম অনেক বেশী। এজন্য বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসাটাই ভালো।
এক চাবিতেই সব দরজা খোলে
আপনাকে একটা চাবি দেয়া হবে এবং এই চাবি দিয়ে আপনার বাসার দরজা, স্টোররুমের লকার, লেটার বক্স, সাইকেলরুমের দরজা, গার্বেজ স্টোরের দরজা খুলতে পারবেন। বাংলাদেশের মতো এখানে একবস্তা চাবি নিয়ে ঘোরার কোন দরকার নেই। তবে চাবি হারালে খবর হয়ে যাবে, কারণ চাবি ছাড়া আপনি কোথাও প্রবেশ করতে পারবেন না।
সরাসরি কল থেকে পানি খাওয়া যায়
ফিনল্যান্ডের যেকোন জায়গা থেকে আপনি নিশ্চিন্তে পানি খেতে পারবেন। এখানে পানি ফুটানোর বা পিউরিফায়ার এর দরকার নেই। পানির টেস্ট একেবারেই অন্যরকম মজার। না খেলে বুঝবেন না।
বাথরুমে হিটার
ফিনল্যান্ডে বাথরুমে হিটার দেয়া থাকে। এই জন্য ফ্লোর কখনোই ভেজা থাকে না, পিছলা খাওয়ার ভয় নাই। আর ভেজা টাওয়াল খুব সহজেই শুকানো যায়।