আমার গাড়ির ড্যাশক্যাম রিভিও এবং অভিজ্ঞতা

কার ড্যাশক্যাম

রাস্তায় চলতে গেলে প্রায়ই নানা ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেটা যদি বাংলাদেশের রাস্তা হয় তাহলে তো আর কথাই নেই! বাংলাদেশের রাস্তাতে গাড়ির সংখ্যা এত বেশি যে এর মধ্যে গাড়ি চালাতে গেলে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটবে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আর সবক্ষেত্রে যে আপনার দোষেই দুর্ঘটনা ঘটে এমনটা কিন্তু না। তবে যদি ঘটনা ঘটেই যায় তাহলে আপনি কিভাবে প্রমান করবেন যে দোষটা আপনার নয়? ঠিক এই কারনেই প্রত্যেকটি গাড়িতে একটি ড্যাশক্যাম থাকা খুবই জরুরী।

আমার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেদিন যদি গাড়িতে ড্যাসক্যাম থাকতো তাহলে প্রমান করে দিতে পারতাম যে দোষটা কার ছিলো।

ড্যাশক্যাম এর দামঃ

ড্যাশক্যাম এর দাম ২০০০/= টাকা থেকে শুরু হয়। আমার গাড়িতে যে ড্যাশক্যামটা সেটাপ করেছি সেটা মিডিয়াম প্রাইস এর একটি চাইনিজ ড্যাশক্যাম। এর দাম নিয়েছে ৪০০০/= টাকা। ড্যাশক্যামটার নামটা জানি না, কারন ক্যামেরার বক্স আর বডিতে কিছুই লিখা নাই ! ক্যামেরার সাথে কোন মেমোরী কার্ড দেয় না, তাই আপনাকে আলাদা করে কার্ড কিনে নিতে হবে। আমি ৮০০/= টাকা দিয়ে ৬৪জিবি ক্লাস-১০ মেমোরী কার্ড কিনে নিয়েছি।

ড্যাশক্যাম এর কোয়ালিটিঃ

ক্যামেরাটির ভিডিও কোয়ালিটি খুবই সাধারন মানের। এই দামের ক্যামেরা থেকে ভালো/প্রিমিয়াম কোয়ালিটি্র ভিডিও আশা না করাই ভালো। তবে এটা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও করা যায়। সাউন্ড কোয়ালিটি একদমই ভালো না। প্রচুর নয়েজ রেকর্ড হয় এবং ভয়েজ বুঝা যায় না। ক্যামেরাটি দিয়ে আমি স্টিল ফটো তুলেছিলাম, যার কোয়ালিটিও ভালো না। তাই ইউটিউব এর জন্য ভিডিও রেকর্ড করতে এটা ব্যাবহার না করাই ভালো।

ড্যাশক্যাম এর সুবিধাঃ

– ক্যামেরাটিতে পার্কিং সেন্সর সুবিধা আছে। তাই কেউ এসে আপনার গাড়ির দরজা খোলার চেস্টা করলে ক্যামেরাটি নিজে থেকে চালু হয়ে ২০ সেকেন্ড এর ভিডিও করে রাখতে পারে।

এটা দিয়ে ১৭০ ডিগ্রি এংগেলে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এজন্য ভিডিওতে অনেক বড় একটা জায়গা কভার করতে পারে। এটাতে ডুয়েল ক্যামেরা আছে, তাই একই সাথে সামনের এবং পেছনের ভিডিও করতে পারা যায়।

নাইট ভিশনে ভিডিও কোয়ালিটি বেশ ভালো মনে হয়েছে। সামনের গাড়ির নম্বর প্লেট স্পষ্ট বোঝা যায়।

মেমোরি কার্ডের জায়গা কমে গেলে ক্যামেরাটি নিজে থেকে পুরাতন ভিডিও গুলো ডিলিট করে দেয়।

ড্যাশক্যাম এর অসুবিধাঃ

– এটার বিল্টইন ব্যাটারির ব্যাকআপ খুবই হতাশাজনক, মাত্র ১মিনিট! তাই এটাকে সবসময় গাড়ির লাইটার পোর্ট এর সাথে লাগিয়ে রাখতে হয়।

– ওয়াইফাই ফিচার নাই। তাই ভিডিও গুলো কম্পিউটারে নিতে হলে মেমোরী কার্ডটি ক্যামেরা বারবার খুলতে হয়।

Total 0 Votes
0

Tell us how can we improve this post?

+ = Verify Human or Spambot ?

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

*
*

Back To Top